কবি শামসুর রাহমানের কবিতায় প্রেম ও রোমান্টিকতা

মানব মনের দুর্মর এক অনুভূতির নাম প্রেম। মানবিক চেতনায় নর- নারীর প্রেম ও আকাংখার ইপ্সিত চেতনা জাগরুক থাকলেও প্রেমের সঙ্গে হৃদয়ের ও সেীন্দয্যবোধের সম্পর্ক কাল থেকে কালে মনোজগতে পরিক্রমায় ভিন্ন পরিবেশগত রুপান্তরে অন্তহীন প্রকাশ ঘটেছে নিত্য। যা মানুষের বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। মানুষের জীবন ধারণ ও জীবনযাপনের নানান বেদনাবোধ বাগ প্রতিমায় কবিকে অনুপ্রাণিত করে তোলে। প্রেমের ব্যাকুলতা, উন্মাদনা, মিলন, বিরহ, তার সম্ভোগ, শ্কংা, প্রভৃতি বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় সর্বত্র প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা কবিতায় প্রেম ও প্রেমের অনুভূতিতে কবি নিজের মধ্যে অজান্তে মগ্ন হয়ে উঠেন বিশেষত: নর-নারীর তীব্র ও গভীর প্রেম ও আকাংখার গভীরতায় । তবুও প্রেমানুভুতির গভীর ও ব্যাপ্তি প্রেমের সীমাব্দতা থেকে কবিতাকে মুক্ত করে অনুভুতির তাড়নায় সার্বজনীন করে তুলতে পারে। বর্তমান বাংলা সাহিত্য হাজার বছরের ইতিহাসে বাংলা কবিতায় মধুসূদন দও থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত প্রেম তার বৈচিত্রময় প্রকাশ নিয়ে ধরা দিয়েছে। রবীন্দ্র কাব্য প্রেমের বহুবিধ রুপের প্রকাশ পাঠককে রীতিমত অবাক করে তোলে। প্রেমের বহবিধ পাঠে রবীন্দ্র কবিতার পাঠ যেনো প্রেমের পূর্ণতার গভীর উপলব্দির অনুভবের বিষয়। প্রেম সর্বগ্রাসী ও প্রেম মানবিক চেতনাবোধ নিয়ে সার্বজনীন রুপ নিয়ে বিচিত্র অন্বেষায় ধরা দেয়। নতুনত্বের প্রকাশে আধুনিক চেতনা ও বাস্তবতার নিরিখে প্রেমের কবিতাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে নতুনত্বের ছোঁয়ায় কবিরা ব্যাক্তিক যন্ত্রনা ও যুগ যন্ত্রনাকে কাটিয়ে মানুষের মনের উপজীব্য করে তোলেন বলেই প্রেমের কবিতা বাংলা সাহিত্য সার্বজনীনবোধ ও ভিন্নতা অর্জন করেছে। মানুষ নিজেকে খুঁজে পেতে, নিজেকে বিলিয়ে দিতে ,নতুন করে বুঝতে আবিস্কার করে আবেগ প্রবণতা থেকে উৎরে নিজের আকাংখা ও আকর্ষনের পূর্ণতায়। সমকালে প্রেমের কবিতা রচিত হয়েছে সব সময়ের কবিদের হাত ধরে। নযদিও প্রেমের কবিতার বিষয়ন ও প্রকাশভঙ্গিতে ভিন্নতা ও পরিবর্তন যুগে যুগে নতুন যোজনায় মানুষের ভুবনে অনূভুতিকে নাড়া দিয়ে গেছে। তাইতো তিরিশের কবি অমিয় চক্রবর্তী উচ্চারণ করেছেন প্রেমের অমিয় বাণী-

“আমি যেন বলি, আর তুমি যেন শোন
জীবনে জীবনে তার শেষ নেই কোনো।
দিনের কাহিনী কত ,রাত চন্দ্রাবলী
মেঘ হয়, আলো হয়, কথা যাই বলি।

চিরন্তন অভিব্যাক্তিতে প্রেম, প্রেমানূভুতির প্রকাশ যেনো ব্যাকুলতায় আবরণ ছেড়ে জীবনে জীবনে চির নতুন হয়ে দেখা দেয়। প্রেমের চিরকালীন অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে বাংলা সাহিত্য সকল যুগে যুগে কবিরা নিজস্ব চেতনায় মনে ধারণ করে প্রেমের ঐশর্যে সৌন্দয্যেবোধে প্রেমের কবিতাকে করেছেন চিরকালীন।
আমাদের সাহিত্য অঙ্গনে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা, রাজনৈতিক সংকট,সামাজিক মূল্যেবোধ ও চেতনা প্রবাহ যার জীবন ধারাকে প্রলুব্দ করেছে তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম কবি শামসুর রাহমান। কবিতায় জাতীয় আন্দোলন, সংগ্রাম, দৈনদিন নাগরিক জীবনের টানাপোড়েন, বেদনাবোধ ছাড়াও যার কবিতা সর্বদা সমাজ সচেতন ছিলো তিনি কবি শামসুর রাহমান। তবুও সব চেতনাকে ছাপিয়ে শামসুর রাহমান একজন রোমান্টিক কবি ছিলেন, তার কবিতায় নারী, প্রেম বেদনাবোধ, রোমান্টিকতার শব্দমালা নিয়ে তিনি সত্য, সুন্দর, মঙ্গলময় কল্যানকর মানবিক জীবনের বেদনাবোধকে ধারণ করেছেন প্রেমের কবিতায়। নর-নারীর রোমান্টিক আবহের ¯িœগ¦তায় গীতল কথা ও ছন্দের ধারায় তার কবিতায় এমন কিছু উপাদান কবিতার মধ্যে দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় তা আমাদের অনেক প্রধানতম কবিদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়না। যা পাঠকের হৃদয়কে দীর্ঘকাল নাড়া দিয়ে যাবে। কারণ সময়ের সাথে শাশ্বতকে মেলানোর একটি আন্তরিক প্রয়াস বিশেষত; প্রেমের কবিতার ক্ষেত্রে শামসুর রাহমানের এই প্রয়াস একেবারে স্বতন্ত্র ধারায় পাঠকের কাছে পোঁছে যায়। প্রেমের কবিতায় নতুন ধারার সৃষ্টি করতে সক্ষম বলেই শামসুর রাহমান পরিপূর্ণরুপে প্রেমের কবিতায় নিজের বৈশিষ্ঠ্যকে হৃদয়গ্রাহী করে তুলতে পেরেছেন।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ‘ প্রথম গান ,দ্বিতীয় মৃত্যুও আগে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে শুরু করে উল্লেখ্যযোগ্য কবিতাবলীতে প্রেমের স্বাতন্ত্র্য ও বিষয় বৈচিত্র্যতা লক্ষ্য করা যায়। নিটোল প্রেমের কবিতা হলেও শামসুর রাহমানের কবিতায় প্রেমের অনুসঙ্গের সাথে স্বদেশ ও সমাজ ও নাগরিকবোধ সব সময় উঠে এসেছে। তাইতো ‘তোমার নীরবতার কাছে ’কবিতায় বলেছেন-

‘বুকের চূঁড়ায় আকাংখার চন্দ্রোদয়, শতবার
তোমার ওষ্ঠের কাছে নত হয়ে দেবদূত কত
তোমার নি:শ্বাসে গলে যায় কত প্রাচীর মিনার
তোমার গোপন হ্রদে ঠোঁট রাখে শিল্পের সারস।

(তোমার নীরবতার কাছে- প্রেমের কবিতা সমগ্র)

নারীর কাছে আকুতি, নারীর ওষ্ঠের কাছে, নারীর শরীরী নি:শ্বাসে নত হয়ে যাওয়া দ্ধিধার প্রাচীর, নারীর প্রতি দুর্বলতার বহি:প্রকাশ কবিতাকে আলোড়িত করেছে। নিটোল প্রেম ও নারীর ঠেঁেেটর কাছে নতজানু মানবিক বোধ যেনো জাগ্রত করে নতুন চেতনায়।
প্রেমের বিচ্ছিন্নতাবোধ কবির চেতনাকে নত করে তুলে নতুন আবেগের স্পর্শতায়, বিচ্ছেদের বেদনাবোধ প্রেমিক মনে নতুন করে সঞ্চার করে, হাহাকার করে তোলে। ‘তোমাকে না দেখে’ তেমনি এক কবিতায় বেদনাবাধের জাগরণ প্রকাশ পেয়েছে।-

‘তোমাকে না দেখে কাটে দিন, কাটে আর কত
রাত্রির ফুরায় নিদ্রাহীন। শবযাত্রীর মতো
স্মৃতি ক্লান্ত পায়ে আসে, হাতে কিছু বিবর্ণ গোলাপ।
হঠাৎ কখনো যদি ডায়াল ঘোরাই টেলিফোনে
একটানা বেজে চলে, ওপাড়ের নীরবতা বড়ো
অত্যাচারী, দিন যায়, রাত কাটে তোমাকে না দেখে।

(তোমাকে না দেখে – প্রেমের কবিতা সমগ্র)

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু একটু করে এগিয়ে যায় নতুন চেতনায়, নতুন সম্ভাবনায়। বর্তমানে বাংলাদেশের কবিদেও মধ্রে এক ধরনের নতুন কবিতা লেখার প্রবণতা তৈরী হয়, সকল দশকের কবিরাই নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। কবিদের লেখায় প্রেম ও একটি নতুন অনুসঙ্গ নিয়ে নতুন মাত্রায় ধরা দেয়। কবি শামসুর রাহমান ও তার ব্যাতিক্রম ছিলেন না। তিনি মৌলিকতায় রাজনীতির সাথে প্রেম কে অনুসঙ্গ করে এক ধারনের ব্যাতিক্রমধর্মী কবিতা লেখার প্রয়াস থেকে বেরিয়ে এসে পূর্ণ প্রেমের কবিতা নির্মানে নিজেকে মনোনিবেশ করেন। সংকটাপূর্ণ দেশের নতুন পদধ্বনিতে শামসুর রাহমান রাজনীতির সাথে প্রেমের প্রকাশ নির্মোহ চিওে উচ্চারণ করেছেন। তাইতো ‘তুমি বলেছিলে’ কবিতায় বলেছেন-

‘আমাকে বাঁচাও এ বর্বর আগুন থেকে,
আমাকে বাঁচাও,
আমাকে লুকিয়ে ফেলো চোখের পাতায়
বুকের অতলে কিংবা একান্ত পাঁজরে
আমাকে নিমেষে শুষে নাও চুম্বনে চুম্বনে।

(তুমি বলেছিলে- প্রেমের কবিতা সমগ্র)

শামসুর রাহমান নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে নারীর প্রতি প্রেমাকর্ষনের প্রকাশভঙ্গি কবিতায় রুপায়ন করেছেন্ কবির কবিতায় চিরাচরিত রোমান্টিক ধারার বিপরীতে এক ধরনের নিজের মতো করে তাকে রুপায়ন করতে চেষ্টা করেছেন । প্রেমের নৈতিক মূল্যেবোধ ও আধুনিক জীবনধারাকে যেভাবেই আয়ত্ব করুক না কেন নর-নারী প্রাথমিক পর্যায় নিজেদের আকর্ষনের চেষ্টায় তৎপর হয়ে উঠেনা। প্রেম নিজেই হচ্ছে এক লক্ষ্যবিন্দ, যে বস্তু মূল্যমানের উর্ধে, এর কল্যাণকর দিক নিজের মধ্যে নিহিত রয়েছে। শামসুর রাহমান প্রেমের কবিতার পংক্তিতে জীবনবোধ ও কল্যানবোধের দৃষ্টি সীমা থেকে দূরে থাকতে চাননি। অস্তিত্বের উন্মুখ উচ্চারণে তিনি প্রেমিককে নিয়ে আশাহত উচ্চারণ করেন নি। বলেছেন কবিতায়-

“ বিনিদ্র রাত তোমাকেই তবু মেনেছি প্রেমিকা
আশার নৌকা ডোবাবে জেনেও তোমার দু’হাতে
সঁপেছি বৈঠা, মেতেছি ভীষন নৈশভ্রমণে,
তোমার চুমোই আনে কবিতার প্রবল জোয়ার।

( বিনিদ্র রাত- প্রেমের কবিতা সমগ্র)

মানব-মানবীর সম্পর্কের সন্ধ্যান প্রেমে মানব-মানবীর ভাবলোক, বিশ্বাস, কবিতায় মর্মে মর্মে উপলব্দি করেছেন শামসুর রাহমান। কবিতায় নতুনভাবে বিষয় ও শব্দের আলোয় তিনি শ্যামল স্নিগ্ধতা কবিতায় ধ্বনিত করেছেন কন্ঠস্বরকে। পাঠকের চেতনাকে স্পর্শ করে তার কবিতায় বেদনার ঐশর্যে আলোড়িত হয়। প্রেমের বেদনাকে হারাবার বেদনায় উদ্যত করে সুন্দর নির্সগের মতো কবিতায় প্রেমের প্রভা ছড়িয়ে দেন কবি। যেমন- ‘

কতকাল ধরে কন্ঠে তোমার মেয়ে
বইয়ে দিয়েছো চকিতে ঝর্ণাধারা
যেন শীতার্ত প্রহওে পেয়েছে ফিরে
প্রাণের শিহরণ মৃত পুস্পের চারা
কি করে তোমার রুপ বর্ননা করি?
তোমার দু’চোখ কি সুন্দর ভাবি।
স্তনের ডৌল স্বর্গের উদ্ভাস
সোনালী চূঁড়ায় আমার কি আছে দাবী।

( কতকাল পরে- প্রেমের কবিতা সমগ্র)

নারীর প্রেম ও সৌন্দর্য্য বর্ননায় হৃদয় অনুভবে, নারীর প্রেমের বিসÍার স্বকীয় স্বত্বায় উচ্চারণ করেছেন নতুন দ্যুতিতে। শামসুর রাহমানের প্রেম অনেকটা রক্ত মাংসের সংস্পর্শ না পেলেও রক্তমাংসে অস্থিরতা ছড়িয়েছে। হাহাকার ও ও অস্থিরতা তার হৃদয়কে করেছে উদ্বেল। কবির কোন কোন প্রেমের কবিতায় স্থিরতার বদলে অস্থিরতা বোধ হলেও কামনার রঙে রাঙিয়ে দয়িতার শরীর জ্বলে উঠেনি। প্রকৃতি বা নিসর্গ তাকে দিয়েছে ভালোবাসা ও মায়াবী প্রেম নিরন্তর। যেমন-

‘ তোমার সান্নিধ্যে কিংবা তুমি হীনতায়
কাটে বেলা, পরিত্যক্ত নি;সঙ্গ সৈনিক
যেমন কম্পিত হাতে রণকান্ত ঠোঁটে রাখে শেষ সিগারেট
তেমনি আঁকড়ে ধরি আজকাল একটি দিন আর ভাবি
সহসা তোমাকে হারানোর দু:খ যেন, হে মহিলা
কখনো না পাই।

কবি মিলনের কবি, বিরহ ও বিচ্ছেদের কবি। হাহাকার ভরা বিচ্ছেদের মাঝে জ্বলে প্রেমিকের সাথে মিলনের অভিসার। প্রেমের কবিতায় প্রেমিকের স্বরুপ সন্ধ্যানে কবি চিরন্তন অনুভূতির প্রকাশ করেন। কবির কবিতা প্রেমের নানামাত্রিক বিচ্ছুরন আছে। শরীরী প্রেম নয়, দয়িতার শরীর সংহার করার মৌল শক্তি কবি উচ্চারণ করেছেন কৌশলী শব্দচয়নে। যেমন-

‘ হয়তো স্নান ঘরে নিজেকে দেখছো অনাবৃতা
জানালার ফাঁক দিয়ে বৃষ্টি ভেজা নর্তকীর মতো
গাছটিকে তীব্র দেখছিলাম তখন।
গাবানে ঘষছো তুমি বগলের সবুজাভ ভূমি
থালার মতোন স্তন নাভিমূলে উরু
এবং ত্রিকোণ মাংস পিন্ড,কী মঞ্জুল।

প্রেমিকের শরীরের বর্ননায় সঞ্চারিত করে হৃদয়াবেগের কামনা বাসনায় প্রেমের পথ খুঁজে পায় কবির হৃদয়। প্রেমিকের চোখের বর্ননায় কবি অপেক্ষার প্রহর গুনেন আদিগন্তকাল। শামসুর রাহমানের কবিতায় প্রিয়তমার ¯িœগ¦তার সঙ্গে প্রেমের সত্য, ও সৌন্দর্য্য বর্ননান কবির হ্নদয়ে অনুরণন করে তোলে। কবিকে প্রেমিকার সৌন্দর্য্য নিরীক্ষণ করার শক্তি সঞ্চয় করে নিতে হয়। তাইতো হাসপাতালের বেডে শুয়ে কবি উচ্চারণ করেন-

‘কতকাল ছুঁইনা তোমাকে। কতকাল
তোমার অধর থেকে আমার তৃষ্ণা ওষ্ঠ বিচ্ছিন্ন
এবং কাঁপে না তোমার স্তন বনকপোতীর
মত থরো থরো
আমার মুঠোয়।
আমার নি:শ্বাসে নেই বিষ
স্পর্শে যার গোলাপের বুকে
ছড়িয়ে পড়বে কীট।

( হাসপাতালের বেডে শুয়ে- প্রেমের কবিতা সমগ্র)

কবি রোমান্টিক মানসে প্রেমের কবিতায় নান্দনিক বিভা ফেলে এগিয়েছেন। তার প্রেমের কবিতায় জীবন ও গাঢ় প্রেম, প্রিয়তমার বিচ্ছেদের কাতরতা, প্রণয়ের অস্থিরতা, ছাড়াও সর্বব্যাপী প্রেমে নিমজ্জিত কাতরতা, শূন্যতাবোধ, সব কিছু ছাপিয়ে স্বপ্নের বাস্তবতায় নির্মান করেছেন স্নিগ্ধতাবোধ্ ডিচরায়ত শিল্প লাবণ্যমন্ডিত কবিতায় শব্দের ব্যাবহার প্রেমের কবিতাকে করেছে হৃদয়গ্রাহী। তাইতো সার্থক প্রেমের কবিতায় তিনি কৌশলী শব্দের রুপকার। তার প্রেম নির্ভরশীল কবিতা স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে পাঠকের কাছে সবসময়।

(মূললেখা ও লেখক সত্ত্ব: আরিফ চৌধুরী)

কবি প্রশাসক

সকল পোস্ট : প্রশাসক

২ thoughts on “কবি শামসুর রাহমানের কবিতায় প্রেম ও রোমান্টিকতা

মন্তব্য করুন