Sale!

৳ 250

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই অমিতকে ভালোবাসতো ঝিনুক। অমিত ঝিনুকের কোনো আবেদনেই সাড়া দেয়নি। ছোটোবেলায় এক কিশোরীকে ভালোবেসেছিল সে। কিশোরী অনামিকা ছাড়া আর কোনো নারীই তার চোখে নারী মনে হয়নি কখনও। ঝিনুক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেড়ে আসার দশ বছরেও ভুলতে পারেনি অমিতকে। দীর্ঘ দশ বছরের হারিয়ে যাওয়া অমিতকে এক সময় খুঁজে পায় সে। এবারও সে প্রত্যাখ্যাত হয়। ভেঙ্গে পড়ে একেবারেই। কাউকে কিছু না বলে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অমিতের নামে লিখে দিয়ে অজানায় বিদেশে পাড়ি জমায় সে। এই সম্পত্তি ঝিনুক পেয়েছে তার পালক পিতার কাছ থেকে। পালক পিতার আর কোনো ওয়ারিশ না থাকায় সে ঝিনুককে পুরো বিষয়সম্পত্তি লিখে দিয়েছিল। পালক বাবা-মা লোকান্তরিত হয়েছেন অনেক আগে। ঝিনুকের বাড়ি বগুড়ায়। পারিবারিক কলহ ও লেখাপড়া করার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে সে যখন পালিয়ে ঢাকা গিয়েছিল, তখন ট্রেনে বসে একমাত্র সন্তানহারা এক ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ঝিনুক একপর্যায়ে তার জীবনের সব কথা খুলে বলে ট্রেনে বসেই। সেই থেকেই সে আশ্রিতা। ঝিনুকের আসল বাবা-মা মারা গেলে সে আর কখনোই বাড়ি ফিরে যায়নি। এসব কথা কেউ জানে না, অমিতও না। তবে বিদেশে যাওয়ার সময় ঝিনুক একটি দীর্ঘ চিঠিতে অমিতকে তার আসল পরিচয় জানিয়ে যায়। সে লিখেছিল যদি কোনোদিন অমিতের মন থেকে কিশোরী অনামিকার স্মৃতি মুছে যায়, সেদিন সে আবার ফিরে আসবে। এরপর প্রায় কুড়ি বছর কেটে গেছে। ঝিনুক কি ফিরে এসেছিল? তার স্মৃতি থেকে কিশোরী অনামিকার সব স্মৃতি কি মুছে গিয়েছিল? সে কি ঝিনুককে নিজের করে নিয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে ‘ফিরে এসো নীলাঞ্জনা’ উপন্যাসটিতে।

কবি প্রশাসক

সকল পোস্ট : প্রশাসক