ছোটগল্প

পোস্টকার্ডে লেখা বাবার চিঠি

  • কলা ভবনের চার তলায় উঠতে হাঁফ ধরে যায় অপূর্বর। কড়িডোরে পৌঁছতেই দেখল নূরুর রহমান স্যার ক্লাসে ঢুকছেন। অপূর্ব প্রায় দৌঁড়ে গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে বেঞ্চের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল। পিছনের বেঞ্চে অপূর্বকে বসার জায়গা দিলো কামাল।
    ডায়াসে দাঁড়িয়ে স্যার রোলকল শুরু করলে কামাল ফিস-ফিস করে বলল, ‘মোশতাকের এটেনডেন্সটা দিতে পারবি তুই?’
    ‘না’।
    ‘না কেন?’
    মিথ্যে বলতে পারব না।
    আরে দূর! দু-চারটা মিথ্যে না বললে পেটের ভাত হজম হবে কী করে!’
    ‘পেটে ভাত থাকলে তো হজম হবে!’
    ‘কী বলছিস তুই? বুঝতে পারলাম না।’
    ‘তোকে বুঝতে হবে না। আমি মিথ্যে বলতে পারব না, এটাই ঠিক।’
    ‘ঠিক আছে। আমিই দিচ্ছি।’
    স্যার মোশতাকের নাম ডাকলে কামাল দাঁড়িয়ে বলে ‘প্রেজেন্ট প্লিজ’। স্যার মাথা তুলে কামালের দিকে তাকালেন।
    ‘তুমি মোশতাক?’ স্যারের রুক্ষ কণ্ঠ।
    কামাল হতবিহ্বল হয়ে পড়ল। কিছুই বলতে পারল না।
    স্যার এবার কড়া ভাষায় বললেন, ‘বলো তুমি কি মোশতাক?’
    কামাল আমতা-আমতা করে বলল, ‘না স্যার।’
    ‘তাহলে?’
    কামাল ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইল।
    স্যার কঠোর হলেন। ‘ক্লাস থেকে বের হয়ে যাও। মিথ্যুক কোথাকার!’
    কামাল কী করবে বুঝতে পারল না। স্যার আবার গর্জে উঠলেন, ‘বলছি বের হয়ে যাও ক্লাস থেকে!’
    কামাল আস্তে-আস্তে পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল।
    স্যার লেকচার শুরু করলেন। কিন্তু অপূর্বর মাথায় কিছুই ঢুকছে না। কামালের মিথ্যা বলা ও স্যারের অপমানকে সহজভাবে নিতে পারল সে। সিট ছেড়ে চোরের মতো আস্তে-আস্তে পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে কড়িডোর দিয়ে হাঁটতে লাগল অপূর্ব। পিছনে স্যারের কণ্ঠস্বর শুনতে পায় অপূর্ব, ‘এই ছেলে দাঁড়াও। এদিকে এসো।’
    অপূর্বকে ক্লাসে ডেকে নিয়ে গেলেন নূরুর রহমান স্যার।
    ‘বলো কেন ক্লাস পালাচ্ছিলে?’
    ‘স্যার আপনিই তো বলেছিলেন…’ আমতা-আমতা করতে থাকে অপূর্ব।
    ‘কী বলেছিলাম আমি?’
    ‘স্যার আপনিই তো বলেছিলেন যার ক্লাস ভালো লাগবে না, সে যেন পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়।’
    ‘বলেছিলাম বুঝি?’
    ‘হ্যাঁ স্যার- পরিচিতি ক্লাসে।’
    ‘তাই তুমি চলে যাচ্ছিলে?’
    ‘জি স্যার।’
    ‘অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করলে না?’
    অপূর্ব উত্তর না দিয়ে ক্লাসে বেঞ্চগুলোর দিকে চোখ বুলায়। ক্লাসমেটদের অনেকগুলো চোখের আকুতি অপূর্বকে ভিজিয়ে দিলো। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অপূর্ব।
    স্যার আবার গর্জে ওঠেন, ‘চলে যাও। আমার টিউটোরিয়াল ক্লাসে আর কখনও আসবে না তুমি। দেখি তুমি কেমন করে প্রমোশন পাও!’
    অপূর্ব হাত জোড় করলো না-মাফ চাইল না। স্যারও নরম হলেন না। স্যারকে মিথ্যুক মনে করে আস্তে-আস্তে ক্লাস থেকে বের হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে থাকে অপূর্ব।

চৈত্র মাসের দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে চারদিক। অপূর্বর এক গ্লাস পানি পানের ইচ্ছে হলো।  দ্রুত হাঁটতে লাগল টিএসসির দিকে। কিছুটা হাঁটতেই কামালকে দেখতে পায় রোকেয়া হলের সামনে দাঁড়িয়ে ঝিনুকের সাথে কথা বলছে। না দেখার ভাণ করে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইল অপূর্ব। পারল না।
অপূর্বকে ডেকে কামাল বলল, ‘কোথায় যাচ্ছিস, টিএসসি বুঝি? কিছু খাওয়াবি? আসব?’
অপূর্ব উত্তর খুঁজে পেল না। নির্বাক তাকিয়ে থাকল ওদের দুজনের দিকে।
কামাল বলল, ‘কিছু বলছিস না যে!’
অপূর্ব বলল, ‘কী?’
ঝিনুক বলল, কামাল কিছু খেতে চেয়েছে। ওর সাথে আমাকেও খাওয়াতে হবে কিন্তু!’
‘টাকা নেই’ বলে আবার হন হন করে হাঁটা শুরু করল অপূর্ব। কামাল ও ঝিনুক মুখ চাওয়া-চাওয়ি করল।
ঝিনুক বলল, ‘অপূর্ব মিথ্যে বলেনি। ও কখনও মিথ্যে বলে না।’
কামাল বলল, ‘খুব অভিমানী আর লাজুক অপূর্ব। পকেটে টাকা না থাকলে না খেয়ে থাকবে, কাউকে কিছু বলবে না। চল আমরা টিএসসি যাই।’
কামাল ও ঝিনুক টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় ঢুকে দেখল অপূর্ব একাকী একটি টেবিলে বসে পানি খাচ্ছে।
কামাল গিয়ে অপূর্বর পিঠে হাত বুলিয়ে বলল, ‘কী হলো তোর? ক্লাস না করে চলে এলি যে?’
অপূর্ব বলল, ‘ভালো লাগছিল না তাই…!’
‘কিছু খাবি?’ কামাল জানতে চাইল।
অপূর্ব মাথা নেড়ে জানাল সে কিছুই খাবে না। উঠে দাঁড়াল অপূর্ব। রুমালে মুখ মুছে দরজার দিকে পা বাড়াল। ঝিনুক ও কামাল অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল ওর চলে যাওয়া পথের দিকে।

* * *

আজ আর কোনো কাজে মন বসাতে পারল না অপূর্ব। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে হাঁটা শুরু করল সে। হাঁটতে-হাঁটতে ছোট-ছোট গাছগুলোর মাথায় হাত বুলাতে-বুলাতে অপূর্ব বলল, তোরা একদিন খুব বড় হবি। আমিও বুড়ো হব। সেদিন তোদের আমার কষ্টের কথা বলব, আজ বললে তোরাও খুব কষ্ট পাবি। তারপর ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল অপূর্ব।
হঠাৎ সড়ক ভবনের সেজো চাচার কথা মনে পড়তেই যেন আশার আলো দেখতে পেলো অপূর্ব। অপূর্বর বাবার ছোট ভাই সড়ক ভবনের বড় বাবু। তাকে ঘুষ দেয়া ছাড়া কোনো কন্ট্রাক্টরই চেক নিতে পারে না। এ নিয়ে অনেক দুর্নাম-বদনাম আছে তার। অপূর্বর দাদী, বাবা ও অন্য চাচারা বিষয়টিতে একদম নাখোশ। তাতে সেজো চাচার কিছুই আসে-যায় না। ঘুষ ছাড়া তার কিছুতেই সংসার চলে না বলে ঘুষ নেয়া ‘জায়েজ’ মনে করেন তিনি।
অপূর্ব ভাবল চাচার কাছে গেলে কয়েকটা টাকা পেতে পারে সে। মনে খুব আশা নিয়ে দ্রুত সড়ক ভবনের দিকে হাঁটা শুরু করে অপূর্ব। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক প্রান্তে সড়ক ভবনে পৌঁছতে সময় লাগল না অপূর্বর। চাচাকে রুমেই পেয়ে গেল সে। অপূর্বকে দেখে চেয়ারের বসতে বলে চাচা নিজের কাজে মন দিলেন। চাচা মুখ তুলে না তাকিয়েই বললেন, ‘কিছু বলবি নাকি?’ অপূর্ব ভাবল এর মধ্যেই তাকে সব কথা বলতে হবে।
অপূর্ব আর দ্বিধা না করে বলল, ‘বাবা বাড়িতে থেকে এখনও টাকা পাঠাননি। পকেটে খাওয়ার টাকাও নেই!’
এটাই অপূর্বর জীবনে কারও কাছে কিছু চাওয়া। আট ভাইবোনের সংসারের পায়ের জুতো কিংবা পরনের শার্টটি ছিঁড়ে গেলেও অপূর্ব কোনদিন বাবা বা মাকে সে কথা জানাতে পারেনি। বন্ধুরা প্রতিদিন কত-কত হাত খরচ পায়! অপূর্ব কোনদিন বাবা-মায়ের কাছে একটি পয়সাও চায়নি। কোনো কিছু চেয়ে পেতে খুব লজ্জা অপূর্বর। কিন্তু আজ আর পারল না অপূর্ব। গত দুদিন ভাত খায়নি একবেলাও। চায়ের সঙ্গে পাউরুটি ভিজিয়ে খেয়েছে খুব ক্ষিধে পেলে। আর যেন না খেয়ে থাকতে পারছে না অপূর্ব। টাকার জন্য এই প্রথম হাত পাতল সে। সব লজ্জা-দ্বিধা-সংকোছ বিসর্জন দিলো অপূর্ব।
চাচা অপূর্বর কথায় কতটুকু গুরুত্ব দিলেন বুঝতে পারলনা অপূর্ব। চাচার পরনে ব্রান্ডের পাতলা শার্টের পকেটে একশ’ টাকা নোট স্পষ্ট দেখতে পেয়ে অনেকটা নিশ্চিত হলো চাচা তাকে নিরাশ করবেন না আজ।
‘তুই একবার রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে গিয়ে একটা সাজেশন এনে দিতে পারবি?’
অপূর্ব সায় দিলো।
আবারও চৈত্রের রোদ মাথায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিন্ডিংয়ের দিকে ছুটে চলল অপূর্ব। অর্ধেকটা পথ আসতেই হঠাৎ মনে পড়ল সাজেশন বই কেনার মতো টাকা তার পকেটে নেই। অপূর্ব ভাবল, কোনো বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে বই কিনে চাচাকে পৌঁছে দিলেই হলো। চাচা টাকা দিলে ধার শোধ করে দেবে বলে ভাবল অপূর্ব।
রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের গেটেই পেয়ে গেলো কবিরকে। কবিরের কাছ থেকে বিকেলে শোধ দেবে বলে দশ টাকা ধার করল অপূর্ব । ছয় টাকা খরচ করে বই কিনে অপূর্ব আবার ছুৃটল সড়ক ভবনের দিকে।
সেজো চাচা সাজেশন বইটি হাতে নিলেন। কয়েক মিনিট নেড়েচেড়ে দেখে ড্রয়ারে রেখে দিয়ে আবার কাজ মন দিলেন তিনি।
অপূর্ব এবার খুব মোলায়েম স্বরে বলল, ‘চাচা একশ’ টাকা চেয়েছিলাম…’
চাচা মুখ না তুলেই বললেন, ‘এখন টাকা নেই।’
কয়েক মিনিট বিমূঢ় হয়ে বসে রইল অপূর্ব। কয়েকবার চাচার পকেটের দিকে তাকিয়ে একশ’ টাকার নোটটি দেখল। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে রাস্তায় নেমে গেল।
ক্ষুধায় অস্থির অপূর্ব। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে পঁচিশ পয়সার বাদাম কিনল সে। তারপর এক গ্লাস পানি খেয়ে আস্তে আস্তে হলের দিকে পা বাড়াল।
অপূর্ব হলে এসে দরজা খুলতেই দেখল পোস্টকার্ডে লেখা একটি চিঠি ডাকপিয়ন দরাজার ফাঁক গলিয়ে ভেতরে রেখে গেছে। আস্তে-আস্তে চিঠিটি পড়তে-পড়তে দু’চোখ ঝাপসা হয়ে এলো অপূর্বর। পোস্টকার্ডে বাবা লিখেছেন, ‘বাবা অপূর্ব, স্নেহ ও দোয়া রইল। পর সংবাদ এই যে, তোমাকে যথাসময়ে টাকা পাঠাইতে পারিলাম না। কবে পাঠাইতে পারিব তাহাও নিশ্চিত করিয়া বলিতে পারিতেছি না। এই বছর যা ধান্য পাইয়াছি তাহার বাজার দর খুবই কম বলিয়া বিক্রি করিতে পারি নাই। বিক্রি হইলেই তোমাকে টাকা পাঠাইয়া দিব। এই সময়ের মধ্যে তুমি সড়ক ভবনে তোমার চাচার কাছ হইতে দুই-একশ’ টাকা ধার করিয়া চলিও…’
অপূর্ব চোখ ঝাপসা হয়ে এলে চিঠিটি ভাজ করে বুক পকেটে রেখে বাথরুমে চলে গেল। এই মুহূর্তে তার খুব ইচ্ছে হলো দু’গ্লাস পানি খেতে। পানি খেতে পয়সা লাগে না। অপূর্ব দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাথরুমের দিকে হাঁটতে শুরু করল।

১৪ জুন, ২০১৪

কবি নাসির আহমেদ কাবুল

জন্ম : পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার ব্যাংকপাড়ায়, ৬ জানুয়ারি, ১৯৬০ প্রকাশক ও সম্পাদক, জলছবি প্রকাশন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক : www.ajagami24.com তালিকাভুক্ত গীতিকার, বাংলাদেশ বেতার প্রকাশিত গ্রন্ত একুশটি। ফেসবুক আইডি-facebook.com/NasirAhmedKabul ফোন : ০১৮১৭১২৭৮০৭, ০১৯১৫৬৮৪৪৩৪ ইমেইল : jalchhabi2015@gmail.com
সকল পোস্ট : নাসির আহমেদ কাবুল

১৭ thoughts on “

  1. জীবন যেখানে যেরকম। এগুলো আগেও ছিলো, এখনো আছে। কিন্তু তফাৎ আছেবিস্তর।
    পড়ে চোখে পানি চলে এলো আমার।

    খুব খুব ভালো লাগা রেখে গেলাম।

  2. সহজ ও সরল ভাষাশৈলীতে চমৎকার একটি জীবনঘনিষ্ঠ গল্প ‘পোস্টকার্ডে লেখা বাবার চিঠি’ পড়ে অভিভূত হলাম!গল্পের প্রারম্ভ ও প্রাক্কালের নাটকীয়তা এবং স্বল্প পরিসরে বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্যকে ফুটিয়ে তোলার কারিশমাকে সাধুবাদ না জানানোর উপায় নেই। আমরা যারা ছোটগল্প লিখতে চেষ্টা করি বা আগ্রহী তারা এই গল্পটিকে বৈশিষ্ট হিসেবে নিতে পারি এটি আমার অভিমত।
    গল্পটিতে মানবিক মূল্যবোধের নানা বৈশিষ্ট ও জীবনবোধের যে চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে তা মনকে নাড়া দেওয়ার মত! অথচ বাহুল্যবর্জিত হয়েও দৃশ্যকল্প দৃষ্টির সীমানায়! সময়ের খাতিরে নামকরণের দিক থেকেও গল্পটি সার্থক।
    তবে প্রিন্টিং সমস্যার জন্য কিছু বানান সমস্যা রয়েছে! আশাকরি লেখক খেয়াল করবেন।
    পরিশেষে এমন গল্প আরো পাঠের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শুভকামনা অবারিত…

  3. তবে প্রিন্টিং সমস্যার জন্য কিছু বানান সমস্যা রয়েছে! আশাকরি লেখক খেয়াল করবেন।
    ঠিক বলেছ। ঠিক করে দেবো সময় করে। তাড়াহুড়ো করে পোস্ট করতে গিয়ে বিপর্যয় হয়েছে।
    ধন্যবাদ।

  4. বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের চিরায়ত গল্প। বাংলাসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। লেখক সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পের জমিন। কথাকার বাক্য নির্মাণে মুন্সিয়ানা দেখিয়েন নিপুণ কারিগরের মতোই। তিনি যে সমাজের গল্প বলেছেন এটাই বাঙালির গর্বের ও গৌরবের সমাজ। এটাই নিয়েই বাঙালি স্মৃতি রোমন্থন করবে চিরোকাল। গল্পটি পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় কবি ও কথাসাহিত্যিক নাসির আহমেদ কাবুল।

  5. বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের চিরায়ত গল্প। বাংলাসাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। লেখক সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পের জমিন। কথাকার বাক্য নির্মাণে মুন্সিয়ানা দেখিয়েন নিপুণ কারিগরের মতোই। তিনি যে সমাজের গল্প বলেছেন এটাই বাঙালির গর্বের ও গৌরবের সমাজ। এটাই নিয়েই বাঙালি স্মৃতি রোমন্থন করবে চিরোকাল। গল্পটি পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় কবি ও কথাসাহিত্যিক নাসির আহমেদ কাবুল। শুভ কামনা।

মন্তব্য করুন