কিছুই কি দিইনি, কিছুই না?
ছেলেবেলায় দীর্ঘ প্রতীক্ষা দিয়েছিলাম–
পুকুরের জলে ইচ্ছের নাও ভাসিয়ে
ভালোবাসার রক্তকরবী
পাঠিয়েছিলাম–
কাঁপা-কাঁপা হাতে সুলেখা কালিতে চিঠি, এবং
এক আকাশ প্রজাপতির রঙ পাঠিয়েছিলাম।
আমার লজ্জা দিয়েছিলাম
না-বলার কথার মহাকাব্য দিয়েছিলাম
স্বপ্নরাত দিয়েছিলাম;
দিয়েছিলাম তৃষ্ণার্ত চোখের ক্রান্তি,
দিয়েছিলাম রাশি রাশি ভ্রান্তি;
দিন শেষে, রাত শেষে পড়ার ফাঁকে
ইচ্ছেগুলো ভাসিয়ে দিয়েছিলাম
রবীন্দ্রনাথের গানে, কবিতায়–
এবং প্রথম জীবনের
প্রেমপদ্যে।
আমি কিন্তু পেয়েছিলাম অনেক–
চকিত চঞ্চল চোখ,
আরক্তিম গোলাপী ঠোঁট,
হরিণ-হরিণ ছুটে চলা,
বিরহী-ওড়নায় ব্যাকুল বাতাস
উচ্ছ্বল হাসি অথবা সবাক বিস্ময়
কিছু অবহেলা, আর কিছু অনুরাগ–
অপ্রকাশিত।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
খুব সুন্দর দেয়া-নেয়া প্রেমের বাদ্যদোলা। চঞ্চলা-হরিণী চোখ কিছুই এড়ায়নি বুঝি। ভালো থাকুন ভাইজান।
বেশ রোমান্টিক কাব্যিক কবি দা অনেক শুভেচ্ছা রইল
আহা
দারুণ দারুণ
রোমান্টিক কবিতা হলেও কবিতার ভাঁজ থেকে ঝরে পড়েছে না বলা অভিমান! সব মিলে কবিতাটি সমৃদ্ধি পেয়েছে আরো বেশি। অনেক ভালো লেগেছে আমার।