ভরসা নেই আবার ফিরে পাওয়ার সেই পুরাতন ডানা!
আবার বাতাসে উড়ে বেড়ানোর ইচ্ছে হামাগুড়ি দেয়;
নবজাতের মতো অসহায় চিৎকারে নিজের
অপারগতা জানান দিয়ে কেবলই বিড়ম্বিত হয় মনন-
সময় তাকে একটুও ক্ষমা করে না!
ফের কারো কাছে ভিক্ষার ঝুলি বয়ে নিয়ে
দ্বারস্থ হয় না মন ব্যাকুল আগ্রহে।
জীবন এমনই- দিনে দিনে রৌদ্রজ্জ্বল সকাল বিষন্ন
করোটিতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে রেখে যায়।
রাত নিশিথে যখন টুপটাপ ঝরে পড়ে শিশির শেফালির বুকে
নিশাচর কষ্ট যখন বাতাসে ভর করে উড়ে বেড়ায়
তখন খুব ক্লেশে আরও একবার উড়তে পারার ইচ্ছের কাছে
আত্মসমর্পণ করে যেন কাউকে ডাকি প্রাণপণে;
যেন কারো স্পর্শের আশায় ব্যাকুল দুই হাত সকাতর
বেহালার ছড়ের মতো তির তির করে কাঁপে!
বুকের মধ্যে তার অনুরণন ছড়িয়ে পড়ে!
আমি কান পেতে থাকি ইথারের বুকে,
বাতাসে পায়ের শব্দে সচকিত মন বদ্ধ জানালার
খড়খড়ি খুলে দেয় অন্তিম বিশ্বাসে-এই বুঝি এলো সে,
এই বুঝি ডানায় ভর করে উড়ে বেড়ানোর
মওসুম ফিরে পাওয়া আবার।
ঠিক তখন আকাশ-গাঙে ভাসে খয়ে যাওয়া আধখানা চাঁদ-
সেই চাঁদে কেবলই তোমার ছায়া পড়ে!
২৮ মে/২০২১
সৃষ্টিশীল মনগুলো অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও আকাঙ্ক্ষায় ভাটা পড়ে না! অবশ্য এটি কাম্যও নয়।কবিতার গতর জুরে আক্ষেপটুকু সেই ইঙ্গিত বহন করছে কিন্তু সময়ের কাছে অসহায়ত্ব চিরন্তন এটিও অস্বীকার করার জো নেই! চমৎকার লিখনশৈলীর কবিতাটি সকলের আপন বলে মনে হবে আমার ধারণা। কবির জন্য শুভকামনা নিরন্তর…
ধন্যবাদ আঞ্জুমান আরা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুভকামনা সতত।
সম্মানিত কবি, ধন্যবাদ আপনাকেও।