পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ৪ হাজার ৫শ’ মিলিয়ন বছর আগে। প্রথমদিকে পৃথিবী নামক এই গ্রহটি ছিল গলিত অবস্থায়। তারপর এর উপরিভাগ আস্তে-আস্তে ঠান্ডা হতে থাকে এবং শক্ত মাটির স্তর পড়তে থাকে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করে থাকেন, পরবর্তীতে পানির একটা বিরাট স্টোরয়েড আমাদের পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে, যা দ্বারা মহাসমুদ্রের সৃষ্টি হয়। আর সেই মহাসমুদ্রে খুব সাধারণ মাইক্রোবিয়াল (সরপৎড়নরধষ ষরভব) ৩ হাজার ৬শ’ মিলিয়ন বছর আগে জন্মাতে থাকে। পরবর্তী ৩ হাজার মিলিয়ন বছর ধরে জীবন ছিল খুবই সাধারণ। আস্তে-আস্তে মাইক্রস্পিক থেকে তা খালি চোখে দেখা যাওয়া শুরু হতে থাকল। ৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন বছর আগে শিম্পাঞ্জি থেকে মানবজাতি পৃথক হয়ে গেছে। এই জিনগত পার্থক্য ১০ মিলিয়ন বছর আগে। হমিনিন জাতীয় এক ধরনের এপ ৭ মিলিয়ন বছর আগে সেই জিনগত পার্থক্যের জন্য আস্তে-আস্তে পরিবর্তনের মাধ্যমে আজ এই মানব জাতিতে পরিণত হয়েছে। তারও আগে মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য হাবল টেলিস্কোপ আবিস্কারের পর জানতে পারি। সে জানা আজও অব্যাহত রয়েছে। আগামীতে বিজ্ঞানীরা আমাদের আরো নতুন-নতুন তথ্য দিতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
মানুষের সভ্যতা ক্রমবিকাশের পর থেকে দেশে-দেশে মানুষের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় অনুভূতির ক্রমবিকাশ ঘটতে দেখা যায়। পৃথিবীর সৃষ্টিকূলের মধ্যে মানুষই একমাত্র ব্যতিক্রমী প্রাণী যাদের চিন্তা ও আবিস্কারের দক্ষতা আছে এবং মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা নিজেদের খাবার সংগ্রহের জন্য চাষাবাদ করতে জানে। মানুষ প্রকৃতি থেকে আহরিত উপাদান দিয়ে নিজের রুচিমতো খাবার তৈরি করে খায়। পৃথবীতে যদি কেউ এলিয়েন থেকে থাকে, তা হচ্ছে মানুষ। মানুষ বিচিত্র কর্মে, চিন্তায় ও চেতনায়। মানুষের বাসউপযোগী পৃথিবী নামক এই গ্রহটিতে সভ্যতার ক্রমবিকাশ নিয়ে অজানা প্রশ্নের উত্তর সন্নিবেশিত হয়েছে।
মূল্য ৪০০ টাকা
পাওয়া যাবে রকমারি ও জলছবি।