কার জন্যে তোমার এমন সজ্জা?
কার জন্যে বাসন্তী বাতাস এমন বেসামাল
উদ্ভ্রান্ত আঁচলে!
বিন্যস্ত চুলের এমন লুটোপুটি-
শোভন ঘাড়ে, পিঠে, বুকের ওপর।
ইচ্ছের প্রজাপতির সাতরঙ ডানায়
এমন হোলি-আনন্দ কার জন্য?
কে সে জন যার ললাট জুড়ে
রোদ্রের এমন ঝলমলে উচ্ছ্বাস!
কার জন্য তুমি
ঘুমকাতর চোখে স্বপ্ন-মেঘ উড়াও
হেসে ওঠো আপন খেয়ালে,
দিন আসে দিন যায়, রাত কাটে
নির্জনে, কার জন্য হাজার কথার
মহাকাব্য রচিত হয় অক্লেশে!
মেঘে মেঘে আকাশ যখন অন্ধ
বাতাস যখন বন্ধ কারো দুঃখে,
ভারাক্রান্ত মনে, বাঁধভাঙা জোয়ারের
জল থই থই যখন
তৃষ্ণাতুর দুই চোখ যখন কারো,
তখনও তোমার আকাশে হাজার নক্ষত্র
হেসে ওঠে, সে কার জন্য?
কে সে জন-যার অকাল মৃত্যু
তোমার মত প্রাণহীন নির্দয়
এক কাপালিকের হাতে
আমি তার জন্য শোক-গীতি লিখে রাখি
হৃদয়-ক্যানভাসে!
২৯ জানুয়ারি/২০২০
প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থ- নীলপদ্ম সরোবর
ছবি : গুগল
বেশ অভিমানি রোমান্টিক কবি দা
কবিদের অভিমান না থাকলে চলে? ধন্যবাদ বাউল কবি।
কবিতায় অতটা রোমান্টিক আবেশ তৈরি হয় কেমন করে! অথচ কত সহজ সরল ভাযার লিখনশৈলী! পাঠে কবিতার ভেতরটা ছোঁয়া যায়। সত্যিই আমি অভিভূত!
ভাবনাগুলো সহজ যে, তাই প্রকাশও সেরকম হতে হবে তো। সত্যি বলতে আমি তো কবি নই; তাই দুর্বোধ্য কিছু লিখতে পারি না।
আঁধারেন রূপ আছে, কবিতার দুর্বোধ্যতায় হয়ত সে রকম! না হলে অমন কেনো লেখে কবিরা?
ওরা দুর্বোধ্য লেখে বলে ওরা কবি; আমি পারি না বলে আমি অকবি।
যে কথা বুঝা যায় না সেকথা লিখে কাগজ ভরে লাভ কী? যা বুঝা যায় না তা কি আপন হয়? কবিতা পড়তে যদি অভিধান নিয়ে বসতে হয় তাহলে তার রসবোধ কোথায় থাকে! সে কবিতা কি ছোঁয়া যায়! দাদা আপনি ‘নাসির আহমেদ কাবুল’ আপনি নাসির আহমেদ কাবুল হয়েই থাকুন। আপনি কবি না অকবি সে বিচারপনার দায়িত্ব আপনার নয়! আমরা এখানে আপনার আরো বেশি কবিতা পাঠ করতে চাই।
আপনি কেন শোকাতুর হলেন তা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছি। আর আপনি যে আপনার না তাকে প্রশ্নই বা করছেন কেন ? যার যাকে ভালো লাগবে সে তার মুখোমুখি হবে এটাই তো স্বাভাবিক। ভিন্নমতের আবেগী কবিতা বেশ ভালো লাগলো।
‘আমারই বধূয়া আন বাড়ি যায় আমারই আঙিনা দিয়া!’
কেমনে সহ্য করি বলুন?
আপনি যাকে চেনেন, ভালোবাসেন, সম্মান করেন সে ব্যক্তি নাসির আহমেদ কাবুল। কবিতাটি তো ব্যক্তি নাসির আহমেদ কাবুল লেখেনি, লিখেছে কবি নাসির আহমেদ কাবুল। তাই মেলাতে পারছেন না হয়ত।
জনাব কি প্রেমের দিনগুলো ভুলে গেলেন? প্রেম আর যুদ্ধে ন্যায়-অন্যায় বলে কিছু নেই।
‘‘ন্যায়-অন্যায় জানিনে জানিনে জানিনে
শুধু তোমারে জানি, তোমারে জানি, তোমারে জানি’’
আমার গুরুর কথা।