এ মাসেই প্রকাশিত হচ্ছে আযাহা সুলতানের মরমী কাব্যগ্রন্থ ‘রৌজা’। গ্রন্থটির কবিতাগুলো মরমী কবি আযাহা সুলতানের এক অনবদ্য সৃষ্টি। ছন্দে ও ভাবের দ্যোতনায় কবিতাগুলো পাঠককে অসমান্য ভাবের জগতে নিয়ে যেতে সক্ষম । স্রষ্টার প্রতি মানুষের চিরন্তন নিবেদন, আত্মসমর্পণের আকুল প্রার্থনা কবিতাগুলোর পরতে -পরতে প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়। শুরুতেই কবি বলেন-
‘সুবাহানাল্লাহ্ ওয়ালহামদুলিল্লাহ্
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
রাব্বানা রাব্বানা
ডাকায়ও অসংখ্য ভুল-চাই গো ক্ষমা।’
কোনো মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়। একমাত্র প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর ব্যতিক্রম। মরমী কবি আযাহা সুলতান স্রষ্টার শক্তি ও সামর্থের কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করে অন্তরের আকুতি প্রকাশ করেছেন এভাবে-
‘চাইলে ভিক্ষাপাত্রে দেওয়ার পারে বাদশাহী দান
ইচ্ছে করলে ফেরেশতাকে বানাতে পারে শয়তান
আমার রব কতযে মহান!’
মানুষ যাকে ভালোবাসে, তার নাম উচ্চারণে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করা যায়। ঈশ্বরপ্রেমিক কবি আযাহা সুলতান এই বইয়ের প্রতিটি কবিতায় আল্লাহর কাছে আত্মনিবেদন করেছেন, নত হয়েছেন স্রষ্টার সৃষ্টি জগতের প্রতি, নিজের ভুলের কথা, গুনাহর কথা অকপটে স্বীকার করে বলেছেন-
‘আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহু সুর
হৃদয়ে লাগে কী যে মধুর-
এ নামের টানে বাইর হোক প্রাণ’
শেষযাত্রায় তিনি প্রিয় নাম আল্লাহ জপতে জপতে স্রষ্টার দিদার লাভ করতে চান। এই চাওয়া শুধু কবির একার নয়, যারা এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করবেন তাদেরও। তারাও যেন নিবেদিত হন সৃষ্টার প্রতি এই কামনা রইল।
রকমারি ডট কম ও জলছবিতে বইটির প্রিঅর্ডার চলছে।
নাসির আহমেদ কাবুল
কবি ও গীতিকার
অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ। বইটি আমাদের এই সাইটে প্রিঅর্ডার নেয়া হচ্ছে। https://jalchhabi.org/store/
প্রথমে আল্লাহর কাছে তারপর কাবুল দার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি কষ্ট করেছেন এবং অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি একজন মহান কবি ও গীতিকার এবং জলছবির কর্ণধার। যেহেতু কাব্যটি জলছবি প্রকাশ করছে সেহেতু তিনি মন্তব্যও দিয়েছেন, দাদাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি, বইটি পড়ে কেউ নিরাশ হবেন না। হাঁ, এগুলো হামদ-নাত-গান-গজল বিশেষ করে গীতিকবিতা : সর্বতপ্রসঙ্গে—মাতাপিতার স্মরণে স্রষ্টার প্রশংসার স্তুতিমাত্র—
তুমি চমৎকার লিখেছ। এখনকার দিনে এতটা শ্রমসাধ্য কাজ কতজন করতে পারে জানি না, বইটি কতজনে মূল্যায়ন করবে, সেটা ভিন্ন কথা; তবে এটি অসাধারণ কাব্যকথা।
আশীর্বাদ রইল।
বহুল প্রচার কামনা করছি।
আপনাদের মতো মহান মানুষের আশীর্বাদই কাম্য। তবু আশা রাখছি দাদা, আমি আর আছিইবা কত দিন। এজনমে মূল্যায়নের আশাও আর নেই। তবে আল্লাহ্ চাইলে কোন-না-কোনদিন হলেও হতে পারে। ছোটবেলায় এক শিক্ষক বলেছিলেন, তুই একদিন বড় কিছু হবি, তবে পড়ালেখা ছাড়িস না। কিন্তু আমার লেখাপড়াও বেশিদূর এগোইনি আর! তিনি কী মনে করে অমন মন্তব্য করেছিলেন জানি না–ওনাকে সব সময় মনে পড়ে; জানি না ওনি বেঁচে আছে কি না। অনেক খুঁজেছিলাম দেখা করব করে তবে আর দেখা হয়নি। একথাও বলব বলব মনে ছিল, স্যার, আমি কিছু হতে পারিনি। ওনার নাম ছিলেন, সরোয়ার স্যার, আমাদের ফটিকছড়ি হাইস্কুলের ভালো একজন শিক্ষক। বকলম সাইডে ‘গণকবর’ কবিতা পড়ে কলকাতার লেখিকা পারমিতা চট্যার্জি দি বলেছিলেন, তুমি একদিন বড় কবি হবে, সেদিন এই দিদিকে কিন্তু ভুলো না। আমি আর বড় কিছুও হতে পারলাম না এবং শেষপ্রান্তেও চলে এসেছি। তবে দিদিকে সব সময় মনে পড়ে এবং কখনো ভুলাও সম্ভব না–এগুলোই ত হতে পারে আশীর্বাদ। অনেক ধন্যবাদ দাদা, কাব্যটির পিছনে আমি প্রায় বিশ বছরের মতো সময় ব্যয় করেছি…কোনো একটি গানে আমার বছরের পর বছরও সময় লেগেছে। পারিবারিক এবং পারিপারশ্বিক সংঘাত বা অভিজ্ঞতা থেকেও অনেক গানে উৎপত্তি…
অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল সুলতান দা
অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই, ভাল থাকুন…
তাই আমিও বলি যেভাবেই ডাকি মনে মনে হোক আর মুখের উচ্চারণ হৃদয়ে উদ্দ্যেলিত হোক আর না হোক আল্লাহ তুমি কবুল করে নিও আমার ডাকা যে এই অধম বান্দা তোমায় ডাকে। খুব আশা রইল আমি পড়ব ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ সহায় হোক।