নিঃসঙ্গ বুনোহাঁস হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছি
নাগরিক কোলাহল ছেড়ে!
বসন্তের কাব্যবনে ফুটেছে ফুল
মেঘের গায়ে লেগেছে রঙ
মহুয়ার গন্ধে মাতাল বনহরিণ!
অভাগা আমি ছুটে চলেছি মায়াবলে
মন্ত্রমুগ্ধতায় নিঃসঙ্গ নীল সমুদ্রে।
আমি একা, বড়ো বেশি একা
দীর্ঘশ্বাসের আদিম গন্ধে উন্মাতাল
পৃথিবীর পায়ে হেটে চলা- সকাল-সন্ধ্যা!
আমি একা, বড়ো বেশি একা
আমার পায়ে-পায়ে সন্ধ্যা নেমে আসে
সমাপ্ত হয় যাপিত জীবনের খেলা।
একাকিত্ব-
অন্ধকারে অশ্রুবিন্দুর মতো নিঃশব্দ, নিঃসঙ্গ!
সম্ভবত চিলেকোঠার নিস্তব্ধতার মতো!
একাকিত্ব-
একাগ্র গাঙচিলের মতো ক্ষিপ্র, অটল!
সম্ভবত ঝলসানো হরিণীর মাংসের মতো!
নিঃসঙ্গ বুনোহাঁস হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছি
নাগরিক কোলাহল ছেড়ে!
কার্তিক শেষে নবান্নের উৎসব এসেছে
লোকালয়ে আনন্দ কোলাহল
আউশের গন্ধে মাতাল গঙ্গাফড়িং!
অভাগা আমি তবুও ছুটে চলেছি
নিঃসঙ্গ নীল সমুদ্রের সুবিশাল বুক চিরে।
কবির একাকিত্ব দূর হোক। নিঃসঙ্গ থেকে সঙ্গে আসুক দেশ মাতৃকার স্বদেশ কাব্যে ভালো লাগল ভাই।
বেশ ভাবনাময় প্রকাশ কবি দা
চমৎকার লিখেছ। সত্যি বলতে প্রেমই আদি ও অন্ত।
প্রথম প্যারায় ‘অভাগা’ শব্দটি বাদ দাও।