ছন্নছাড়া একটি বিকেল আর একটি ঝামেলাযুক্ত অফিসের সময় পিছনে ফেলে বের হলাম। কাজের চাপে প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা ছিল। অফিস থেকে বের হতে পিয়নকে জানালাম ভাল লাগছেনা। হাতে সময় শেষ হয়ে গেলেও একটু বিশ্রাম করলাম।
বের হয়েই নিচে নেমে একটু হাঁটতেই ঝিরিঝিরি বাতাসে বেশ হালকা লাগল, শীতল বাতাসে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। অতি ধীর পায়ে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছি বাস স্টপে গাড়ীতে উঠার লক্ষ্যে। ইচ্ছে করছিল দু’হাত উপরে তুলে পাখির মতো আকাশে উড়ি আর বাতাসের সাথে মাখামাখি করে মনটা উজাড় করে শুন্যে ঘুরি! এই শীতে আকাশ মেঘলা করা বিকেলে ফুর ফুরে মেজাজে সরু জমির আইল ধরে হাঁটতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আবার যদি হয় নদীতীর, তাহলে আর কি বলব উন্মাতাল এক অনুভূতি।
এই আমার বাংলা, এই আমার মা, নয়নাভিরাম সুদৃশ্য মাঠ।
আকাশ মেঘলা করা শীতের রাতে জোনাকির আলোয় ঘুরতে বেশ লাগে। ওহ! যদি গ্রাম হত… এই শহর ছেড়ে ঘুরতাম আর ঘুরতাম! কয়েক সেকেন্ড কত কী যে আবোলতাবোল ভাবছি, নিজেই জানি না! মাথার চাপটা কমেছে অনেক। এই আবহাওয়া আমার প্রাণে ভীষণ দোলা দেয়! এই অনুভূতি আমায় ছুঁয়ে যায় ভীষণ রকম। এই বাতাসে নদীর পাড় ধরে হাঁটতে আর কিছু বাউল গান খুব শুনতে কার না ভালো লাগে!
ভীষণ ভালো লাগে গ্রামের মেঠো পথ বেয়ে চলতে, সবুজের বুক মাড়িয়ে বহুদূর ছুটে যেতে। মন চায় সুর তুলতে বাউল গানে!
হায়! সোঁদামাটির জীবন। হায়! আমার হৃদয় কেড়ে নেওয়া সবুজ! ভালোবাসি ভীষণ ভালোবাসি।
আপনার লেখাটি আরেকবার পড়ুন মজিবার ভাই। মুগ্ধ হয়েছি।
প্রাণঢালা স্নেহ ও ভালোবাসা দিলাম উজাড় গ্রহণ করে, গ্রহণ কোরো।
খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ প্রিয়।
মুগ্ধ।প্রকৃতির স্পর্শে মন আনচান করে।
আপনাকে দেখাই যাই না ভাইসাব। ধন্যবাদ ভ্রমণ করার জন্য।
প্রকৃতির সাথে মন একাকার হলো পাঠে!
ধন্যবাদ আপু।