একদা ইচ্ছে ছিল-একটা বাইসাইকেল হবে চৌধুরীদের পিচ্চি ছেলেটার মতো। ওরটা লাল, আমারটা নীল! আমিও পিচ্চি ছিলাম তখন। গোঁ ধরার মতো পরিস্থিতি ছিল না বলেই হয়নি, এটুকু বুঝতাম, গোঁ ধরা চৌধুরীদের ছেলেদের মানায়!
একদা ইচ্ছে ছিল-একটা বাইক হবে আমার। কলেজের শহুরে ছেলেরা বাইক হাঁকিয়েই ক্লাসে আসে! ফেল মারুক, তাতে কী? মিস ইউনিভার্সগুলো ঠিকই তাদেরই হয়ে যায়। আমাদের, মানে আমার মতো অনেকেরই তখন বাইসাইকেল হয়েছে একটা করে। বন্ধু রাশেদ একদিন তার সাইকেলটা বিক্রি করে দিতেই চেয়েছিল! ‘এই চিড়িয়া আর রাখুম না, সাবিনা কইছে আমারে না-কি খ্যাঁতখ্যাঁত লাগে!’ আমরা বলেছিলাম, ‘তুই ইঞ্জিনিয়ার হবি, তখন সাবিনারা তোর পিছনে লাইন দিবে!’ রাশেদ এখন ইঞ্জিনিয়ার, জানিয়ে দিয়েছে বিয়েথা আর করবে না।
ইচ্ছে ছিল- সবাইকে নিয়ে পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়াব, পারি না। সময় আমাকে হার মানায়। একদা আমার অফুরান সময় আসবে… তখন হয়তো জীবন আমাকে হার মানাবে!
ইচ্ছেঘুড়িটা লাটাই ছেড়ে এভাবেই খোলা আকাশে উড়ে বেড়ায়। মরে যাওয়া ইচ্ছেরা সময়ে অসময়ে নাড়া দেয়।
বেশ ভাবনাময় প্রকাশ অনেক শুভেচ্ছা রইল
অনেক ধন্যবাদ বাউল দা।।
সব কপাল সবার হয় না,
সবার ভাগ্যে সব জোটে না।
সব ইচ্ছে পুর্ণতায় ভরে উঠে না
সব মেঘে বর্ষন হয় না।
সব মেঘে বর্ষণ হয় না! খুব সুন্দর বলেছেন কবি।
ইচ্ছেয় ত অনেককিছু হয়ে যেতে মন চায় তবে আশাটাই থেকে যায়…ভাল লাগল…
অনেক ধন্যবাদ কবি।।
লেখাটি সংক্ষিপ্ত তবে এর মর্মার্থ ব্যাপক।দৃশ্যপট খুব চেনা বলেই লেখাটি আপন মনে হবে সবার। এটি লেখকের বড় প্রাপ্তি।ভালোলাগা থেকে দু’বার পড়েছি ভাইয়া!
অনেক ধন্যবাদ কবি। আমারও মনে হয় বিষয়টি সকলের জীবনের কোনো না কোনো একটি সময় ঘটেছে।